ঈদ সম্পর্কে কিছু কথা

 

ঈদ মানে খুশি আনন্দ ভালবাসার উৎসব ও প্রতিটি মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মুসলমানদের জন্য ঈদ উৎসব আনন্দ ভালবাসা বয়ে নিয়ে আসে। আনন্দের প্রধান দুটি উৎস হলো ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা। ঈদুল ফিতর শুরু হয় রোজা শেষ শেষ হওয়ার পর আর ঈদুল আযহা শুরু হয় ইব্রাহীম আলাইহিস সাল্লাম এর আত্মত্যাগের স্মরণে।

ঈদ-মানে-খুশি-আনন্দ-ভালোবাসার-উৎসব

২০২৬ সালে এ পবিত্র মাহে রমজান রোজাকে কেন্দ্র করে আসে ঈদ। এক মাস রোজার পর আসেন ঈদুল ফিতর। আর ইব্রাহিম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আত্মত্যাগের ও আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দেবার জন্য আসে ঈদুল আযহা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঈদ সম্পর্কে আপনি সকল বিষয় জানতে পারবেন

ঈদ সূচিপত্রঃ

  • ঈদ মানে কি
  • ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের আনন্দ শান্তি উৎসবের দিন 
  • ধনী-দরিদ্র ছোট বড় সকলে এক সাথে সুখ ভাগ করে নেওয়া ঈদের মূল  সৌন্দর্য 
  • এক মাস রোজার পর আল্লাহ পুরস্কার হিসেবে ঈদুল ফিতর দিয়েছেন 
  • ঈদুল ফিতরের দুই মাস দশ দিন পর আসে ঈদুল আযহা 
  • ঈদুল আযহা ঈদে আল্লাহর নামে কুরবানী করা ও আত্মত্যাগ করা
  • ঈদ মুসলমানদের জন্য আনন্দ উৎসবের দিন যা আল্লাহর তালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন 
  • ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মধ্যে পার্থক্য কি
  • মুসলমানদের জীবনে বছরে দুইবার আসে খুশির বার্তা ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর।

ঈদ মানে কি 

ঈদের একটি আরবি শব্দ যার অর্থ উৎসব। বছর শেষে মুসলমানদের জন্য যে দিনটি আনন্দ নিয়ে আসে এবং সকলের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই তাই হচ্ছে ঈদ। আল্লাহর হুকুমে মুসলমানদের কে বছরে দুইটি আনন্দ করার অনুমতি দিয়েছেন। এই দিনে সকলের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেই। এই দিন প্রতিবছর ফিরে আসে প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা কে কেন্দ্র করে।

মাহে রমজান উপলক্ষে মহান আল্লাহ ঈদ উপহার দিয়েছেন আমাদেরকে। একমাস রামজানে  আমরা আল্লাহর ইবাদত করি ।নামাজ পড়ি কুরআন শরীফ পাঠ করি আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করি দোয়া করি রোজা রাখি ইফতার করি। রমজান শেষে আমাদের দুয়ারে আনন্দের জোয়ার নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। এই আনন্দ সকলে একসাথে ভাগ করে নিয়ে সকলেই মুসলমান ভাই ভাই এক। একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই।

আমরা ছোট-বড় সকলকে সালাম জানাই এই ঈদের দিনে। ঈদের দিনে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন ও তার ইবাদতের জন্য। তাই আল্লাহ আমাদের উপহার স্বরূপ হিসেবে বছরে দুইটি দিন আনন্দের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রত্যেক ব্যক্তি উপর।

ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহার কথা শুনলে আমাদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার আসে। মনে হয় সেই আনন্দের সময় কখন আসবে আমাদের জীবনে। আর যখন বছর শেষে আনন্দ চলে আসে তখন আনন্দ আর রাখার যায় না। তখন আনন্দ উৎসবে আমরা সকলে মিলে ধনী গরিব একসাথে আনন্দ ভাগ করে নিইএবং একে অপরের পাশে দাঁড়ায়  অপরকে সাহায্য করি।

ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের আনন্দ শান্তি উৎসবের দিন

ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের আনন্দ শান্তি উৎসবের দিন ।বছর আবার এসেছে মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর । ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে উৎসব ঈদ মানেই একে অপরের দুঃখ কষ্ট শেয়ার করা বিশ্লেষণ করা। একে অপরের দুঃখ কষ্ট ভাগ করে নেওয়া। ঈদ মানে নতুন সব জামার উৎসব। ঈদ মানে হরেক রকম খাবারের আয়োজন। ঈদ মানে পটকা আর আতশবাজি বাজনা আর জুয়েলারির রিমঝিম সুর।

ঈদের উৎসবে নতুন জামার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচিং এর জুয়েলার্স নেওয়া কেনাকাটা করার  আমেজিং একটি ব্যাপার। ঈদে সকলে মিলে ভ্রমণের স্বাদ পাওয়া আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে হাটা। রমজানের রোজার পবিত্র দিনগুলো শেষ আবার পরে নতুন চাঁদের হাসি নিয়ে প্রত্যেক মানুষের মনের মধ্যে আনন্দে জেগে ওঠে এবং ছোটদের আনন্দের মধ্যে বড়রা সুখ খুঁজে পাই। তখন মনে হয় শৈশবে সে আনন্দ বেশ  ছিল ঝর্ণাধারার মতো।

ধনী দরিদ্র ছোট বড় সকলে একসাথে সুখ ভাগ করে নেওয়া ঈদের মূল সৌন্দর্য

ধনী-দরিদ্র ছোট বড় সকলে একসাথে সুখ ভাগ করে নেওয়া ঈদের সৌন্দর্য। এই উৎসবে ভেদাভেদ সবাই মিলে একাকার হয়ে যায়। এই উৎসবে সকলের মুখে আনন্দে জোয়ার ভাসে। এটি আনন্দের উৎসবের সাথে সাথে সকলের মিলনের দিন। এই আনন্দে আত্মীয়-স্বজন একসাথে হয়ে যায়। ছোট বড় ধনী-দরিদ্র শত্রু মিত্র সকলে এ আনন্দে একসাথে হয়ে যায়। একে অপরের মিষ্টান্ন ভাগাভাগি করে খাওয়া হয়

ঈদের এই সময় গুলো দেখে মনে হয় প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে এরকম কারণ প্রতিনিয়ত বিন্দাবন থাকুক। মনে হয় গোধূলির মতো আলোই আলোকিত হোক সবার জীবন। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পাড়া-প্রতিবেশী সকলের সাথে সম্পর্কের শুতোই যেন যেন মালা গাথার মতো সম্পর্কে টানে একের পর এক দাড়িয়ে যায়। ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা এই দুইটি দিন আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এই দুইটি দিন বছর ঘুরে আবার আসে কিন্তু কেউ থাকে আবার কেউ  থাকেনা যা আল্লাহ ডাকে সাড়া দিতে চলে যায় আল্লাহর কাছে।কিন্তু এই দিন গুলো পাবার আশা আমরা সবাই করি। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি এই দিনগুলো আমাদের জীবনে কতটা প্রিয়।

একমাস রোজার পর আল্লাহ পুরস্কার হিসেবে ঈদুল ফিতর দিয়েছেন

এক বছর পর পবিত্র রমজান মাসে আসে রোজা। প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য এই  ইবাদতের মাস বা ফজিলতের মাস অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তার বান্দাদের ভালোবেসে এই  রমজান মাস উপহার দিয়েছেন। এই রমজান মাস আল্লাহর নৌকট্য  লাভের আশায় রোজা রাখে যাকাত দেই।

রমজান মাস শেষ খাবার পরে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আমরা একমাস রোজা রাখার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করি অনেক আনন্দের সাথে।এক রোজার সোয়াব আল্লাহ তালার আমলনামায় লিখি রেখেছেন আর তারপর আমাদের আনন্দের সাথে দান করেছেন ঈদুল ফিতর উৎসবের দিন।

ঈদুল ফিতরের দুই মাস দশ দিন পর আসে ঈদুল আযহা

ঈদুল ফিতরের দুই মাস দশ দিন পর আসে ঈদুল আযহা। ঈদ ঈদুল ফিতরের মতো মুসলমানদের জীবনে অনেক আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে কিন্তু এই ঈদের একটু অন্যরকম নিয়ম আছে যা আত্মত্যাগ। আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ইব্রাহীম আলাইহিস সাল্লাম তার তার পুত্রকে কুরবানী করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আল্লাহর নির্দেশে তার পুত্রের পরিবর্তে দুম্বা  কুরবানী করে দেন। মহান আল্লাহ অতি দয়াশীল দয়াময়।

মহান আল্লাহ তিনি চাইলে সবকিছু করতে পারেন। মহান আল্লাহ তা'আলা তার বান্দাদের অনেক ভালো বাসেন। তাই তিনি এই ঈদকে কোরবানি করার জন্য বলেছেন ও তার বান্দাদের জন্য হালাল খাবার হিসেবে কোরবানির গোস্তকে গ্রহণ করতে বলেছেন। মহান আল্লাহতালা বলেছেন যার সামর্থ্যবান আছে কোরবানি করার তাকে অবশ্যই আমার জন্য কোরবানি করতে হবে। 

আর সেই বস্তু গরিব দুঃখীদের মধ্যে মিলিয়ে দিতে হবে ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে দিতে হবে এবং নিজে গ্রহণ করতে হবে। তাই ঈদ সম্পর্কে কিছু কথা জানতে চাইলে আমার এই অ্যাপটিকেল টি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ঈদুল আযহা ঈদে আল্লাহর নামে কুরবানী করা ও আত্ম ত্যাগ করা

ঈদুল আযহা হলো ত্যাগের উৎস যেখানে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কুরবানী করেন। আত্মত্যাগ এবং নিঃস্বার্থ ত্যাগের মহিমা ও অনুগত্য ত্যাগের মহিমা শিক্ষালাভ করা হয়। এই শিক্ষা মানুষের মধ্যে আত্মত্যাগ এবং মনুষত্ব জাগরণ করে এবং পশুত্ব দূর করে এর নতুন মনুষত্ব সৃষ্টিতে সহায়তা করে।

কোরবানির নিয়ম তিন ভাগের একভাগ নিজের জন্য রাখতে হবে আরেক ভাগ পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনের জন্য দিতে হবে। আর একবার সমাজের মানুষের জন্য যা গরিব লোকের মধ্যে তারা বন্টন করে দিবেন।

ঈদ মুসলমানদের জন্য আনন্দ উৎসবের দিন যা আল্লাহ তাআলার নির্ধারণ করে দিয়েছেন

ঈদ ঈদ মুসলমানদের জন্য আনন্দ উৎসবের দিন আল্লাহতালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ঈদ একটি বিশেষ উপহার যা আমাদের জন্য আল্লাহতালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

দুইটি প্রধান উৎস ঈদের

ঈদুল ফিতরঃরমজান মাসের রোজা ইবাদত এর উপরে শাওয়াল মাসে প্রথম দিন ঈদের চাঁদ দেখার পর ঈদুল ফিতর শুরু হয়। সকলে এই ঈদকে ছোট ঈদ বলে অভিইত করেছেন

ঈদুল আযহাঃ জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে ঈদ উদযাপিত হয়।

ঐক্য  ও সংহতিঃ ঈদের নামাজ জামাতে পড়ার মাধ্যমে সকলের মধ্যে সৃষ্টি হয় ঐক্য ও সংহতি।

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মধ্যে পার্থক্য

ঈদুল ফিতর রমজান মাসে রোজার পরে সাওয়ালের প্রথম দিন হয় । জিলহজ মাসের ১০ দিন পর অনুষ্ঠিত হয়। ঈদুল ফিতর ঈদে নামাজ পড়া রোজার অনুভূতি কাজ করে। কিন্তু ঈদুল আযহা ঈদের কোরবানির নিয়ম ফলো করা হয়। ঈদুল ফিতর ঈদের সময় আনন্দ বেশি হয় ঘোরাঘুরি হয়। কিন্তু ঈদুল আযহা কোরবানির গোস্ত কোরবানি দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় কাজে।

মুসলমানদের জীবনে বছরে দুইবার আসে খুশির বার্তা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা

মুসলমানদের জীবনে দুইবার আসে দুটি উৎসব ঈদ।এই ঈদে মুসলমানরা যতটা খুশি থাকে অন্য কোন কিছুতেই তারা খুশি থাকে না। ঈদ করতে মুসলমানদের বার্ষিক উৎসবের








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Mst.Manira Khatun
Mst.Manira Khatun
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট মানিরা আইটি । তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সফল হতে সহায়তা করে যাচ্ছেন।